যুদ্ধের অবসান ঘটবে কি!!!

ফোনালাপের পর এবার সরাসরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে এবং এটি ইউক্রেন যুদ্ধসহ অন্যান্য বৈশ্বিক ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রিয়াবকভ জানান, পুতিন-ট্রাম্প বৈঠকে শুধু ইউক্রেন যুদ্ধ নয়, বরং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হবে। তিনি আরও বলেন, "এই বৈঠক দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রথম ধাপ, তবে এটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।"
বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দুই দেশের রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান রিয়াবকভ। এর আগে, ১২ ফেব্রুয়ারি ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান যে, তিনি এবং পুতিন সরাসরি বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। সেই সময় তারা দীর্ঘ ফোনালাপও করেন। ট্রাম্প বলেন, "এই যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা করতে পুতিন ও আমি একমত।"
ওভাল অফিসের বৈঠকের পর ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করেন যে, তাদের কূটনৈতিক দল শিগগিরই আলোচনা শুরু করবে এবং তারা একে অপরকে নিজ নিজ রাজধানীতে আমন্ত্রণ জানাবে।
এরপর, ১৮ ফেব্রুয়ারি সৌদির দিরিয়াহ প্রাসাদে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি এবং রাশিয়া-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তবে, এই বৈঠকে ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, কিয়েভকে বাদ দিয়ে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত তারা মেনে নেবে না। এছাড়া, ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় দেশগুলোকে আলোচনা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post