া
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের শুরুতে একটি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র ছয় মাসের মাথায় পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। গণআন্দোলনের মুখে গত পাঁচই অগাস্ট ভারতে পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।
গণরোষের মুখে সরকার প্রধানের দেশত্যাগের ঘটনা বাংলাদেশে এবার প্রথম হলেও সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হওয়ার ঘটনা দেশটিতে আগেও বেশ কয়েকবার ঘটেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে সরকারের পদত্যাগের ঘটনা ঘটে ১৯৯৬ সালে।
ওই বছর মাত্র ১১ দিনের মাথায় সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্ববধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার।এর বাইরে, আরও কমপক্ষে দু'বার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করতে দেখা গেছে।
রাজনৈতিক কোন কোন দলের সরকার ঠিক কবে এবং কোন প্রেক্ষাপটে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল, সেই ইতিহাসই তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।ছিয়াশির নির্বাচন১৯৮৬ সালের সাতই মে বাংলাদেশের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার মেয়াদকাল ছিল মাত্র ১৭ মাস।
তৎকালীন সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের অধীনে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা বর্জন করেছিল বিএনপি।
তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তখন ভোটে অংশ নিয়েছিল। নির্বাচনে ছিল জামায়াতে ইসলামীও।
ভোটের কয়েক মাস আগে মি. এরশাদের রাজনৈতিক দল 'জাতীয় পার্টি' আত্মপ্রকাশ করে। নির্বাচনে তারা ১৫৩টি আসনে জয়লাভ করে।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ ৭৬টি আসন এবং জামায়াতে ইসলামী ১০টি আসন পায়।
ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সেটি প্রত্যাখ্যান করে ব্যাপক অনিয়ম, সন্ত্রাস ও ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন।
যদিও পরে তিনি সংসদে যোগ দেন এবং বিরোধী দলীয় নেতার ভূমিকা পালন করেন।প্রয়াত বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদও তার 'চলমান ইতিহাস ১৯৮৩-১৯৯০' উল্লেখ করেছেন যে, ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে ব্যাপকমাত্রায় অনিয়ম হয়েছিল।
"বহু সংখ্যক এলাকায় ভোটাররা হয় ভোটদানে নিরুৎসাহিত ছিলেন কিংবা তাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য নির্বাচন কেন্দ্রে যেতেই দেয়া হয়নি," লিখেছেন মি. আহমদ, যিনি একসময় জাতীয় পার্টিরও নেতা ছিলেন।
নির্বাচনের আগে থেকেই মি. এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছিল।
বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় রাষ্ট্রক্ষমতা নেওয়ায় আন্দোলনটি আরও জোরদার হতে থাকে।
১৯৮৭ সালের ১০ই নভেম্বর পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন নামে একজন নিহত হলে আন্দোলনে নতুনমাত্রা যুক্ত হয়।
এরশাদের পদত্যাগ ও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে নভেম্বরেই সংসদের বিরোধী দলগুলোর সংসদরা সবাই একযোগে পদত্যাগ করেন।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে রাখতে ডিসেম্বরের শুরুতে সংসদ ভেঙে দেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। এরপর চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।১৯৮৮ সালের সংসদ নির্বাচন১৯৮৮ সালের তেসরা মার্চ চতুর্থ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বিএনপি-আওয়ামী লীগসহ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সেটি বর্জন করে।
নির্বাচনে তখন জাতীয় পার্টিসহ মাত্র ছয়টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল।
বড় দলগুলো না থাকায় ভোটে তেমন কোনো প্রতিযোগিতা ছিল না। ফলে ভোটারদের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীপনা কম ছিল। সারা দেশে ভোটার উপস্থিতিও ছিল নগণ্য।
সরকারি হিসেবে সাড়ে ৫২ শতাংশ বলা হলেও বিদেশি সংবাদমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোট পড়ার হার ছিল আরও অনেক কম।
নির্বাচনে ২৫১টি আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করে জাতীয় পার্টি। বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মওদুদ আহমদ তখন সংসদ নেতা নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে, বিরোধী দলের নেতা হন জাসদের আ স ম আব্দুর রব, যিনি তখন ছোট কয়েকটি দলের একটি জোটের নেতৃত্বে ছিলেন।
এ দফায় জাতীয় পার্টির সরকার টিকতে পেরেছিল দুই বছর সাত মাস।
মি. এরশাদ পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি না মানায় বড় রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলো রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখে।
আন্দোলন ব্যাপক গতি পায় ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বরের দিকে এবং আন্দোলনরত দলগুলোর মধ্যেও ইস্যুভিত্তিক ঐক্য গড়ে ওঠে।১৯৮৮ সালের সংসদ নির্বাচন১৯৮৮ সালের তেসরা মার্চ চতুর্থ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বিএনপি-আওয়ামী লীগসহ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সেটি বর্জন করে।
নির্বাচনে তখন জাতীয় পার্টিসহ মাত্র ছয়টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল।
বড় দলগুলো না থাকায় ভোটে তেমন কোনো প্রতিযোগিতা ছিল না। ফলে ভোটারদের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীপনা কম ছিল। সারা দেশে ভোটার উপস্থিতিও ছিল নগণ্য।
সরকারি হিসেবে সাড়ে ৫২ শতাংশ বলা হলেও বিদেশি সংবাদমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোট পড়ার হার ছিল আরও অনেক কম।
নির্বাচনে ২৫১টি আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করে জাতীয় পার্টি। বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মওদুদ আহমদ তখন সংসদ নেতা নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে, বিরোধী দলের নেতা হন জাসদের আ স ম আব্দুর রব, যিনি তখন ছোট কয়েকটি দলের একটি জোটের নেতৃত্বে ছিলেন।
এ দফায় জাতীয় পার্টির সরকার টিকতে পেরেছিল দুই বছর সাত মাস।
মি. এরশাদ পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি না মানায় বড় রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলো রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখে।
আন্দোলন ব্যাপক গতি পায় ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বরের দিকে এবং আন্দোলনরত দলগুলোর মধ্যেও ইস্যুভিত্তিক ঐক্য গড়ে ওঠে।১৯৮৮ সালের সংসদ নির্বাচন১৯৮৮ সালের তেসরা মার্চ চতুর্থ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বিএনপি-আওয়ামী লীগসহ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সেটি বর্জন করে।
নির্বাচনে তখন জাতীয় পার্টিসহ মাত্র ছয়টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল।
বড় দলগুলো না থাকায় ভোটে তেমন কোনো প্রতিযোগিতা ছিল না। ফলে ভোটারদের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীপনা কম ছিল। সারা দেশে ভোটার উপস্থিতিও ছিল নগণ্য।
সরকারি হিসেবে সাড়ে ৫২ শতাংশ বলা হলেও বিদেশি সংবাদমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোট পড়ার হার ছিল আরও অনেক কম।
নির্বাচনে ২৫১টি আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করে জাতীয় পার্টি। বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মওদুদ আহমদ তখন সংসদ নেতা নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে, বিরোধী দলের নেতা হন জাসদের আ স ম আব্দুর রব, যিনি তখন ছোট কয়েকটি দলের একটি জোটের নেতৃত্বে ছিলেন।
এ দফায় জাতীয় পার্টির সরকার টিকতে পেরেছিল দুই বছর সাত মাস।
মি. এরশাদ পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি না মানায় বড় রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলো রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখে।
আন্দোলন ব্যাপক গতি পায় ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বরের দিকে এবং আন্দোলনরত দলগুলোর মধ্যেও ইস্যুভিত্তিক ঐক্য গড়ে ওঠে।তখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন আটদলীয় জোট, বিএনপির নেতৃত্বাধীন সাতদলীয় জোট এবং বাম ঘরানার দলগুলোর সমন্বয়ে পাঁচদলীয় জোট গড়ে ওঠে।
এর মধ্যে দশই অক্টোবর ছাত্রদল নেতা জেহাদ মারা যাওয়ার পর জেহাদের মরদেহ সামনে রেখেই ২৪টি ছাত্র সংগঠন মিলে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গঠন করে।
এতে এরশাদবিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠলে একই বছরের ১৯শে নভেম্বর জোটগুলো আলাদা সমাবেশ করে একটি রূপরেখা ঘোষণা করে, যা 'তিন জোটের রূপরেখা' নামে পরিচিতি পায়।
ওই রূপরেখায় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ গঠনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
এর কিছুদিন পর ২৭শে নভেম্বর ডা. শামসুল আলম খান মিলন গুলিতে নিহত হলে এরশাদ সরকারের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে।
মূলত এই ছাত্র ঐক্যের নেতৃত্বেই তুমুল আন্দোলন হয়, যার জের ধরে নানা ঘটনার ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে পদত্যাগে সম্মত হন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
চৌঠা ডিসেম্বর মি. এরশাদ পদত্যাগ করেন। তিনটি জোটের রূপরেখা অনুযায়ী, তৎকালীন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করে তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়।
এরপর ১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি দেশে প্রথমবার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ওই নির্বাচনে খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপি ১৪২টি আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে।

গণরোষের মুখে সরকার প্রধানের দেশত্যাগের ঘটনা বাংলাদেশে এবার প্রথম হলেও সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হওয়ার ঘটনা দেশটিতে আগেও বেশ কয়েকবার ঘটেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে সরকারের পদত্যাগের ঘটনা ঘটে ১৯৯৬ সালে।
ওই বছর মাত্র ১১ দিনের মাথায় সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্ববধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার।এর বাইরে, আরও কমপক্ষে দু'বার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করতে দেখা গেছে।
রাজনৈতিক কোন কোন দলের সরকার ঠিক কবে এবং কোন প্রেক্ষাপটে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল, সেই ইতিহাসই তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।ছিয়াশির নির্বাচন১৯৮৬ সালের সাতই মে বাংলাদেশের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার মেয়াদকাল ছিল মাত্র ১৭ মাস।
তৎকালীন সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের অধীনে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা বর্জন করেছিল বিএনপি।
তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তখন ভোটে অংশ নিয়েছিল। নির্বাচনে ছিল জামায়াতে ইসলামীও।
ভোটের কয়েক মাস আগে মি. এরশাদের রাজনৈতিক দল 'জাতীয় পার্টি' আত্মপ্রকাশ করে। নির্বাচনে তারা ১৫৩টি আসনে জয়লাভ করে।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ ৭৬টি আসন এবং জামায়াতে ইসলামী ১০টি আসন পায়।
ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সেটি প্রত্যাখ্যান করে ব্যাপক অনিয়ম, সন্ত্রাস ও ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন।
যদিও পরে তিনি সংসদে যোগ দেন এবং বিরোধী দলীয় নেতার ভূমিকা পালন করেন।প্রয়াত বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদও তার 'চলমান ইতিহাস ১৯৮৩-১৯৯০' উল্লেখ করেছেন যে, ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে ব্যাপকমাত্রায় অনিয়ম হয়েছিল।
"বহু সংখ্যক এলাকায় ভোটাররা হয় ভোটদানে নিরুৎসাহিত ছিলেন কিংবা তাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য নির্বাচন কেন্দ্রে যেতেই দেয়া হয়নি," লিখেছেন মি. আহমদ, যিনি একসময় জাতীয় পার্টিরও নেতা ছিলেন।
নির্বাচনের আগে থেকেই মি. এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছিল।
বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় রাষ্ট্রক্ষমতা নেওয়ায় আন্দোলনটি আরও জোরদার হতে থাকে।
১৯৮৭ সালের ১০ই নভেম্বর পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন নামে একজন নিহত হলে আন্দোলনে নতুনমাত্রা যুক্ত হয়।
এরশাদের পদত্যাগ ও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে নভেম্বরেই সংসদের বিরোধী দলগুলোর সংসদরা সবাই একযোগে পদত্যাগ করেন।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে রাখতে ডিসেম্বরের শুরুতে সংসদ ভেঙে দেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। এরপর চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।১৯৮৮ সালের সংসদ নির্বাচন১৯৮৮ সালের তেসরা মার্চ চতুর্থ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বিএনপি-আওয়ামী লীগসহ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সেটি বর্জন করে।
নির্বাচনে তখন জাতীয় পার্টিসহ মাত্র ছয়টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল।
বড় দলগুলো না থাকায় ভোটে তেমন কোনো প্রতিযোগিতা ছিল না। ফলে ভোটারদের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীপনা কম ছিল। সারা দেশে ভোটার উপস্থিতিও ছিল নগণ্য।
সরকারি হিসেবে সাড়ে ৫২ শতাংশ বলা হলেও বিদেশি সংবাদমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোট পড়ার হার ছিল আরও অনেক কম।
নির্বাচনে ২৫১টি আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করে জাতীয় পার্টি। বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মওদুদ আহমদ তখন সংসদ নেতা নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে, বিরোধী দলের নেতা হন জাসদের আ স ম আব্দুর রব, যিনি তখন ছোট কয়েকটি দলের একটি জোটের নেতৃত্বে ছিলেন।
এ দফায় জাতীয় পার্টির সরকার টিকতে পেরেছিল দুই বছর সাত মাস।
মি. এরশাদ পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি না মানায় বড় রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলো রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখে।
আন্দোলন ব্যাপক গতি পায় ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বরের দিকে এবং আন্দোলনরত দলগুলোর মধ্যেও ইস্যুভিত্তিক ঐক্য গড়ে ওঠে।১৯৮৮ সালের সংসদ নির্বাচন১৯৮৮ সালের তেসরা মার্চ চতুর্থ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বিএনপি-আওয়ামী লীগসহ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সেটি বর্জন করে।
নির্বাচনে তখন জাতীয় পার্টিসহ মাত্র ছয়টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল।
বড় দলগুলো না থাকায় ভোটে তেমন কোনো প্রতিযোগিতা ছিল না। ফলে ভোটারদের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীপনা কম ছিল। সারা দেশে ভোটার উপস্থিতিও ছিল নগণ্য।
সরকারি হিসেবে সাড়ে ৫২ শতাংশ বলা হলেও বিদেশি সংবাদমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোট পড়ার হার ছিল আরও অনেক কম।
নির্বাচনে ২৫১টি আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করে জাতীয় পার্টি। বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মওদুদ আহমদ তখন সংসদ নেতা নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে, বিরোধী দলের নেতা হন জাসদের আ স ম আব্দুর রব, যিনি তখন ছোট কয়েকটি দলের একটি জোটের নেতৃত্বে ছিলেন।
এ দফায় জাতীয় পার্টির সরকার টিকতে পেরেছিল দুই বছর সাত মাস।
মি. এরশাদ পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি না মানায় বড় রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলো রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখে।
আন্দোলন ব্যাপক গতি পায় ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বরের দিকে এবং আন্দোলনরত দলগুলোর মধ্যেও ইস্যুভিত্তিক ঐক্য গড়ে ওঠে।১৯৮৮ সালের সংসদ নির্বাচন১৯৮৮ সালের তেসরা মার্চ চতুর্থ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বিএনপি-আওয়ামী লীগসহ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সেটি বর্জন করে।
নির্বাচনে তখন জাতীয় পার্টিসহ মাত্র ছয়টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল।
বড় দলগুলো না থাকায় ভোটে তেমন কোনো প্রতিযোগিতা ছিল না। ফলে ভোটারদের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীপনা কম ছিল। সারা দেশে ভোটার উপস্থিতিও ছিল নগণ্য।
সরকারি হিসেবে সাড়ে ৫২ শতাংশ বলা হলেও বিদেশি সংবাদমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোট পড়ার হার ছিল আরও অনেক কম।
নির্বাচনে ২৫১টি আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করে জাতীয় পার্টি। বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মওদুদ আহমদ তখন সংসদ নেতা নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে, বিরোধী দলের নেতা হন জাসদের আ স ম আব্দুর রব, যিনি তখন ছোট কয়েকটি দলের একটি জোটের নেতৃত্বে ছিলেন।
এ দফায় জাতীয় পার্টির সরকার টিকতে পেরেছিল দুই বছর সাত মাস।
মি. এরশাদ পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি না মানায় বড় রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলো রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখে।
আন্দোলন ব্যাপক গতি পায় ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বরের দিকে এবং আন্দোলনরত দলগুলোর মধ্যেও ইস্যুভিত্তিক ঐক্য গড়ে ওঠে।তখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন আটদলীয় জোট, বিএনপির নেতৃত্বাধীন সাতদলীয় জোট এবং বাম ঘরানার দলগুলোর সমন্বয়ে পাঁচদলীয় জোট গড়ে ওঠে।
এর মধ্যে দশই অক্টোবর ছাত্রদল নেতা জেহাদ মারা যাওয়ার পর জেহাদের মরদেহ সামনে রেখেই ২৪টি ছাত্র সংগঠন মিলে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গঠন করে।
এতে এরশাদবিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠলে একই বছরের ১৯শে নভেম্বর জোটগুলো আলাদা সমাবেশ করে একটি রূপরেখা ঘোষণা করে, যা 'তিন জোটের রূপরেখা' নামে পরিচিতি পায়।
ওই রূপরেখায় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ গঠনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
এর কিছুদিন পর ২৭শে নভেম্বর ডা. শামসুল আলম খান মিলন গুলিতে নিহত হলে এরশাদ সরকারের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে।
মূলত এই ছাত্র ঐক্যের নেতৃত্বেই তুমুল আন্দোলন হয়, যার জের ধরে নানা ঘটনার ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে পদত্যাগে সম্মত হন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
চৌঠা ডিসেম্বর মি. এরশাদ পদত্যাগ করেন। তিনটি জোটের রূপরেখা অনুযায়ী, তৎকালীন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করে তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়।
এরপর ১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি দেশে প্রথমবার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ওই নির্বাচনে খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপি ১৪২টি আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে।
00:01