
কাউন্সিলের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলন উপলক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মো. ইসহাককে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। মো. ইসহাক জানিয়েছেন, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, এবং সাংগঠনিক সম্পাদক—এই তিনটি পদে মোট আটজন প্রার্থী হয়েছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে কেবল দেলোয়ার হোসেন খোকন প্রার্থী হওয়ায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। সভাপতি পদে দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যশোর নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম এবং যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী—মুনীর আহম্মদ সিদ্দিকী বাচ্চু, শহিদুল বারী রবু, কাজী আজম, এবং ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম।
দলটির প্রতিটি উপজেলা ও পৌর কমিটির মোট ১,৬১৬ নেতা ভোটের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচন করবেন। দলের সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন যশোর ইদগাহ মাঠে এবং নেতৃত্ব নির্বাচন যশোর টাউন হল ময়দানের আলমগীর সিদ্দিকী হলে অনুষ্ঠিত হবে। দুটি স্থানও দৃষ্টিনন্দনভাবে সজ্জিত করা হয়েছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে জেলা বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে কমিটি গঠনের ১০ বছর পর ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল জেলা কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা থাকলেও গত ছয় বছরে তা সম্ভব হয়নি। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, "পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আগে তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি করতে হয়। কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের গুন্ডাদের হামলা, মামলা, এবং নির্যাতনের কারণে দলীয় কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। ৫ আগস্টের পর নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিগুলো পুনর্গঠন করেছেন, এবং তখন থেকেই জেলা সম্মেলনের এই আয়োজন করা হয়।
00:01