
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের একটি মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, “স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেছেন ফ্যাসিস্টদের লোকেরা যদি কেউ মাফ চেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তাহলে অংশ নিতে পারবেন। এ থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায়।”
"এটা বিপজ্জনক। আমরা কি মনে করবো তারা সরকারে থেকে দল গুছানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছেন? সে কৌশল নিলে আমরা তা হতে দিবো না। এদেশের মানুষ তা হতে দিবে না,” বলছিলেন তিনি।
মি.আলমগীর বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি বলেন অন্তর্বর্তী সরকার চেষ্টা করছে অত দ্রুত কিছু কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া। কিন্তু এর মধ্যে কতগুলো সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মধ্যে এবং সন্দেহটা হলো নির্বাচনে এরা আন্তরিক কি না।
“অবশ্যই নতুন দলকে স্বাগত জানাবো। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সরকারে বসে আপনারা দল গঠন করবেন। এটা কখনোই মেনে নেয়া হবে না,” বলেছেন তিনি।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকার প্রধানের প্রতি আহবান জানিয়েছে তিনি বলেন, ব্যবস্থা না নিলে সরকারের ওপর জনগণের যে আস্থা আছে সেটি থাকবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি বলেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা হারালে আরেকটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।
"কেন বলেছিলাম তা এখন প্রমাণ হয়েছে। যদি আবার কেউ ১/১১ র কথা চিন্তা করেন। গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে একদলীয় শাসন বা ফ্যাসিস্ট সরকারের দিকে যেতে চান তাহলে জনগণ তা মেনে নিবে না।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে আসিফ মাহমুদ বলেছিলেন যে, “আওয়ামী লীগ করেছেন, কিন্তু কোনো অন্যায়, গণহত্যা বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন, তারা ক্ষমা চেয়ে মেইনস্ট্রিমে [মূলধারায়] স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারেন। কেউ নির্বাচন করতে চাইলেও বাধা নেই।”
00:01